অফসেট প্রিন্টিং কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

offset-printing machine at apian printing

অফসেট প্রিন্টিং কি (Offset Printing)? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

অফসেট প্রিন্টিং(Offset Printing)  সাধারণভাবে ব্যবহৃত একটি প্রিন্টিং পদ্ধতি যেখানে কালিযুক্ত একটি ছবি একটি প্লেট (Plate) থেকে স্থানান্তর (transferred or offset) হয় একটি রাবার এর ব্লাঙ্কেটে তার পর সেখানে থেকে কাগজ বা অন্য যেকোন প্রিন্টিং মাধ্যমে।  অফসেট প্রিন্টিং শতবছর ধরে পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রিন্টিং এর একটি পদ্ধতি । যদিও আধুনিক অগ্রসরমান পৃথিবীতে ডিজিটাল প্রিন্টিং (digital printing) টেকনোলজি এসেছে তবুও লিথো প্রিন্টিং (litho printing) অনেক সংখ্যায় ও ভাল কোয়ালিটি প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে  আজও জনপ্রিয় হয়ে আছে। আধুনিক লিথোগ্রাফিক (lithographic) প্রিন্টিংএ প্লেইট (Plate) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

শুরুর দিকে আর্টওয়ার্ক প্রস্তুতির জন্য কম ব্যয়বহুল একটি পদ্ধতি ছিল  লিথোগ্রাফি। এই পদ্ধতিতে সমতল স্পঞ্জ জাতীয় সমতল যে কোন কিছুর উপড়িভাগে প্রিন্ট করার কাজে ব্যবহার করা হত। কারণ প্রিন্টি প্লেইটটি প্রস্তত হত লাইমস্টোন থেকে। প্রকৃত অর্থে,  “লিথোগ্রাফ” শব্দটির ঐতিহাসিক অর্থ হল “স্টোন থেকে ছাপা”। উনবিংশ শতাব্দীতে টিনের পাত্র মোড়কজাতকরণের উপকরণ হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিল। টিনের উপড় প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে লিথোগ্রাফিক পদ্ধতির আগে ট্রান্সফার পদ্ধতিতে প্রিন্ট করা হত। 

১৮৭৫ সালে রবার্ট বার্কলে কতৃক প্রথম রোটারী অফসেট লিথোগ্রাফিক প্রিন্টিং প্রেস তৈরী হয় ইংল্যান্ডে এবং স্বত্ব সংগ্রিহিত হয়।

১৮৭৫ সালে রবার্ট বার্কলে কতৃক প্রথম রোটারী অফসেট লিথোগ্রাফিক প্রিন্টিং প্রেস তৈরী হয় ইংল্যান্ডে

অফসেট প্রিন্টিং এর সুবিধা সমূহ: 

১. ধারাবাহিকভাবে উচ্চমান সম্পন্ন ছবি প্রিন্ট করা যায়। লেটার প্রেসে প্রিন্টিং (Letter Press Printing) এর তুলনায় অনেক সহজভাবে অনেক স্পস্ট ও নিঁখুত ছবি প্রিন্ট করা যায় অফসেট প্রেসে। এর কারণ রাবার ব্লাঙ্কেট এর সংযোজন। রাবার ব্লাঙ্কেটটি প্রিন্ট মাধ্যমটির উপড়িভাগে খুব ভালভাবে লাগে।

২. দ্রুত ও সহজভাবে প্রিন্টিং প্লেট প্রস্তত করা যায়। 

৩. প্রিন্টিং প্লেটটি দীর্ঘসময় পর্যন্ত টিকে থাকে লিথো প্রেস এর তুলনায়। কারণ প্রিন্টিং সাফেস এর সাথে প্লেটটির সরাসরি কোন সংযোগ হয় না। 

৪. বানিজ্যিক  ও উচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন প্রিন্টিংএর ক্ষেত্রে অফসেট প্রিন্টিং হল সবচেয় সস্থা প্রিন্টিং পদ্ধতি। 

৫.প্রিন্টিং এর সময় কি পরিমান কালি রোলারে যাবে তা কিছু চাবির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা যায়। তবে বর্তমানে এই চাবিগুলো আরও নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায় ইলেক্ট্রনিক নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে।

অফসেট প্রিন্টিং এর অসুবিধা সমূহ: 

১. ছবির মান রটোগ্রাভিয়ার প্রিন্টিং এর তুলনায় কিছুটা খারাপ আসে। 

২. ভালভাবে প্লেট বানাতে না পারলে প্লেটের ছবিহীন যায়গাগুলোতেও কালি চলে আসে ফলে প্রিন্ট কোয়ালিটি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

৩. অল্প পরিমান ছাপার ক্ষেত্রে সময় ও খরচ দুটোই বেশি লাগে। ফলস্বরুপ ডিজিটাল প্রিন্টিং বর্তমান সময়য়ে স্বল্প পরিমান ছাপার ক্ষেত্রে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

আশা করছি অফসেট প্রিন্টিং কি সংক্রান্ত এ নিবন্ধটি আপনার ভাল লেগেছে। আরও বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়ার অফসেট প্রিন্টিং সংক্রান্ত নিবন্ধটি পড়ে নিতে পারেন। 

0
    0
    Your Cart
    Your cart is emptyReturn to Shop